Posts

ব্রয়লার মুরগিগুলো অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ খাদ্য খেয়ে বেশি পরিমাণ মাংস উৎপাদন করে। ব্যাখ্যা কর।

Image
ব্রয়লার মুরগিগুলো অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ খাদ্য খেয়ে বেশি পরিমাণ মাংস উৎপাদন করে। ব্যাখ্যা কর।  মাংসল জাতের মোরগ মুরগির মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ব্রয়লার জাতের সৃষ্টি করা হয়। ব্রয়লার মুরগিগুলো মূলত মাংস উৎপাদনের জন্য লালন পালন করা হয়ে থাকে। এই বয়লার মুরগিগুলো সাধারণত আট সপ্তাহে চার কেজি পরিমাণ খাদ্য খেয়ে সে দুই কেজি পর্যন্ত মাংস উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। অর্থাৎ অতি দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অল্প সময়ে বেশি পরিমাণ খাদ্য এই মুরগিগুলোকে দিতে হয়। এই খাদ্য খেয়ে অতি দ্রুত মাংস উৎপাদন করতে সক্ষম হয় এই মুরগিগুলো। অর্থাৎ বলা যায় ব্রয়লার মুরগিগুলো অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ খাদ্য খেয়ে বেশি পরিমাণ মাংস উৎপাদন করে।

পোল্ট্রির প্রয়োজনীয়তা কি?

Image
পোল্ট্রির প্রয়োজনীয়তা কি?  বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পোল্ট্রির গুরুত্ব উল্লেখ করছি।  খাদ্য এবং পুষ্টি চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  এছাড়াও অর্থ আয়ের উৎস কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে পোল্ট্রি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  জমিতে উত্তম সার হিসেবে হাঁস মুরগির নাড়িভুড়ি, হাড় এবং বিষ্ঠা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  মাছের খাদ্য হিসেবেও পোল্ট্রির নাড়িভুড়ি এবং বিষ্ঠা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  পোল্ট্রি পালক শিল্পে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  এছাড়াও গবেষণার ক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নেও পোল্ট্রি ভূমিকা পালন করে।  পোল্ট্রি ফিড, চিক, ডিম এবং ঔষধ বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

চিংড়ি চাষ লাভজনক কেন?

Image
চিংড়ি চাষ লাভজনক কেন?  চিংড়ি চাষ লাভজনক কারণ দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে চিংড়ির দাম এবং চাহিদা উভয়ই অনেক বেশি। অল্প বিনিয়োগে চিংড়ি খামার গড়ে তোলা যায়। কৃষকেরা স্বল্প ব্যয়ে এবং ক্ষুদ্র আকারে চিংড়ি খামার গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে মাছ রপ্তানির প্রায় 65 শতাংশই হল চিংড়ি। এছাড়া বর্তমানে চিংড়ি থেকে রপ্তানি আয় মোট জাতীয় আয়ের প্রায় 7.8 শতাংশ। এছাড়া চিংড়ির পোনা প্রাকৃতিকভাবে প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া চিংড়ি এমনকি ধান ক্ষেতেও চাষ করা যায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, চিংড়ি চাষ অত্যন্ত লাভজনক।

ফরমালিন দেয়া মাছ চেনার উপায় আছে?

Image
ফরমালিন দেয়া মাছ চেনার বেশ কয়েকটি উপায় আছে। আমি কয়েকটি উপায় উল্লেখ করছি। ফরমালিন দেয়া মাছটি শক্ত এবং অনমনীয় হবে। ফরমালিন দেয়া মাছের চক্ষুগোলক ফ্যাকাসে হয়ে যাবে এবং ভেতরের দিকে ঢুকানো থাকবে।  আর এসব মাছের দেহে পিচ্ছিল পদার্থ থাকে না।  এবং মাছের যে স্বাভাবিক গন্ধ আছে, ফরমালিন দেয়া মাছের ক্ষেত্রে সেই গন্ধটি পাওয়া যায় না। ফরমালিন দেয়া মাছের গায়ে বা এর আশপাশে মাছি বসে না।  ফরমালিন দেয়া মাছের ফুলকা কালচে বর্ণের হয়ে যায়।

নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কি?

Image
নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কি? মাছ সংরক্ষণের সময় মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই হল নিরাপদ মাছ সংরক্ষণ। নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা বেশ কয়েকটি উপকার পেতে পারি।  সেগুলো হলো-  নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের মাধ্যমে মাছের খাদ্য উপাদান যেমন: খনিজ লবণ, আমিষ এসবের মান অক্ষুন্ন রাখা যায়।  নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের মাধ্যমে মাছের দেহে বিভিন্ন এনজাইমের ক্রিয়া বন্ধ করা যায়।  এছাড়া মাছের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের জারণ ক্রিয়া বন্ধ করা যায়।  নিরাপদ মাছ সংরক্ষণের মাধ্যমে মাছের ফুলকা, আইশ এবং পাকস্থলীতে ক্ষতিকর জীবাণুর কার্যক্রম স্থগিত করা যায়।  সর্বোপরি ক্রেতা বা ভোক্তার কাছে মানসম্মত এবং গুণগত সম্পন্ন মাছ সরবরাহ করা যায়।

মাছ শুকানো হয় কেন?

Image
 মাছ শুকানো হয় কেন?  শীতকালে বা শীত মৌসুমে জলাশয়ে যেমন পুকুর, ডোবা, হাওড়, বাওড় এসব জায়গায় পানি শুকিয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ ধরা পড়ে। এসব মাছ একসাথে বাজারজাত করা যায় না বা খাওয়া যায় না। তাই এসব মাছ সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হিমায়িতকরণ, টিনজাতকরণ এসব প্রক্রিয়ায় মাছ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। কিন্তু রোদে মাছ শুকানো তুলনামূলক সহজ। এছাড়া মাছ যেহেতু দ্রুত পচে যায়, তাই দ্রুত সংরক্ষণের জন্য মাছ শুকানো হয়।  https://youtube.com/shorts/nBLSr-VKu14?feature=share

চিংড়িকে সর্বভুক প্রাণী বলা হয় কেন?

Image
চিংড়িকে সর্বভুক প্রাণী বলা হয় কেন? চিংড়ি সব ধরনের খাবার খায়। গলদা চিংড়ি প্রধানত জলজ পোকামাকড় ও তার ডিম শুককিট, অ্যালজি, ক্রাস্টেশিয়ান, ছোট মাছ এবং মৃত প্রাণীর অংশবিশেষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এমনকি চিংড়ি যখন ক্ষুধার্থ থাকে তখন দুর্বল ও ছোট চিংড়িকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। তাই চিংড়িকে সর্বভুক প্রাণী বলা হয়।