Posts

আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন কেন?

Image
আমাদের নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন কেন? শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে সহজ পাচ্চ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন বা আমিষ, ফ্যাট বা স্নেহ জাতীয় খাদ্য উপাদান রয়েছে। এছাড়াও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ইত্যাদি। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যেমন লাউ, সজিনা, পালং শাক, পুইশাক, লাল শাক। এসবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের শরীরে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও গাড় বর্ণের গাড় সবুজ বর্ণের এবং লাল বর্ণের সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ ছাড়াও আয়রন এবং ক্যালসিয়াম। কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের দাঁতের মাড়ি ভালো রাখে। এছাড়াও ভিটামিন সি আমাদেরকে সর্দি-কাশি এসব থেকেও রক্ষা করে। ভিটামিন বি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন সিম, মটরশুটি, বরবটি এসবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ বা প্রোটিন। এসব আমিষ জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীর গঠন, দৈহিক বৃদ্ধি এবং ক্ষয় পূরণে সাহায্য করে। নিয়মিত শাকসবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিণ্য সমস্যা দূর হয়। আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন কার্ডিয়াক ডিজ...

ডালকে গরীবের মাংস বলা হয় কেন?

Image
ডালকে গরীবের মাংস বলা হয় কেন?  আমরা জানি ডাল একটি আমিষ জাতীয় খাদ্য। ডালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে মাংসের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। কিন্তু অনুন্নত বা গরীব দেশগুলোতে মাংসের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব। কারণ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির বাজারে এসব মাংসের প্রচুর বাজার মূল্য রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ডাল যেমন মসুর, মুখ, মাসকলাই, মটর, ছোলা, খেসারি, অরহর ইত্যাদি ডাল সহজল্য। এসব ডালেও প্রচুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে। প্রজাতিদে বিভিন্ন ধরনের ডালে 20 থেকে 30 শতাংশ পর্যন্ত আমিষ রয়েছে। অথচ মাংসের মধ্যে 10 থেকে 12 শতাংশ পর্যন্ত আমিষ থাকে। তাই পুষ্টি বিবেচনায় ডালকে গরীবের মাংস বলা হয়।

মীর মশাররফ হোসেন

Image
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম। তাঁর পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় বেশিদূর অগ্রসর না হলেও মীর মশাররফ হোসেন ফরিদপুর নবাব এস্টেটে ও দেলদুয়ার এস্টেটে চাকরি করে জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন। এরপর তিনি কলকাতায় অনেক দিন অবস্থান করেন। ছাত্রজীবনেই 'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকার তাঁর রচনা প্রকাশিত হয়। মুসলিম রচিত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তক হিসেবে তিনি খ্যাত।   তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে—  নাটক :  'বসন্তকুমারী',  'জমীদার দর্পণ',  ‘এর উপায় কি; গদ্য :  'বিষাদ-সিন্ধু ',  'নিয়তি কি অবনতি',  'উদাসীন পথিকের মনের কথা',  'গাজী মিয়ার বস্তানী',  'ফাস কাগজ' প্রভৃতি।  মহররমের বিষাদময় ঐতিহাসিক কাহিনি অবলম্বনে রচিত 'বিষাদ-সিন্ধু' তাঁর বিস্ময়কর সৃষ্টি। তাঁর রচিত মহাকাব্যধর্মী এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সম্পদ। মীর মশাররফ হোসেন ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে ডিসেম্বর মৃত্য...

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Image
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মে ( ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাতা সারদা দেবী । বিশ্বকবি অভিধায় সম্ভাষিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্প রচয়িতা এবং বাংলা ছোটগল্পের শ্রেষ্ঠ শিল্পী । তাঁর লেখনীতেই বাংলা ছোটগল্পের উদ্ভব, বিকাশ ও সমৃদ্ধি ঘটেছে। তাঁর ছোটগল্প বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পগুলোর সমতুল্য। ১২৮৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ষোল বছর বয়সে "ভিখারিনী" গল্প রচনার মাধ্যমে ছোটগল্প লেখক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে । এর পর থেকে জীবনের প্রায় শেষ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ চৌষট্টি বছরে তিনি অখণ্ড 'গল্পগুচ্ছে' সংকলিত ৯৫টি ছোটগল্প রচনা করেছেন। এর বাইরে 'সে', 'গল্পসল্প' এবং 'লিপিকা' গ্রন্থে তাঁর আরও গল্প সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সর্বশেষ গল্পটির নাম 'মুসলমানীর গল্প'। পারিবারিক জমিদারি তদারকির সূত্রে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসবাসের কালপর্বই রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প রচনার স্বর্ণযুগ। 'সোনার তরী' কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবিত...

কাজী আবদুল ওদুদ

Image
কাজী আবদুল ওদুদ কাজী আবদুল ওদুদ ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে এপ্রিল রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার বাগমারা গ্রামে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কাজী সগীরউদ্দীন ও মাতা খোদেজা খাতুন । অসাধারণ মেধাবী কাজী আবদুল ওদুদ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএ এবং অর্থনীতি বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিচারপতি রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি আমীন আহমদ প্রমুখ তাঁর সহপাঠী ছিলেন । তিনি সংস্কৃত, ফারসি, উর্দু ও আরবি ভাষায়ও দক্ষতা অর্জন করেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি রবীন্দ্রভক্ত হন এবং সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমান ঢাকা কলেজে) বাংলা বিষয়ে অধ্যাপনা করেন । এ সময় ঢাকায় 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সংগঠনের সদস্যরা 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলন পরিচালনা করেন। কাজী আবদুল ওদুদ ছিলেন এ আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব । তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক যুগন্ধর পুরুষ। কাজী আবদুল ওদুদ বাংলা সরকারের টেক্সট বুক কমিটির সম্পাদক নিযুক্ত হয়ে কলকাতা যান। সেখানে অবস্থ...

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

Image
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই সেপ্টেম্বর পশ্চিম বাংলার হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় , জননী ভুবনমোহিনী দেবী । বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ঔপন্যাসিকের ছেলেবেলা কাটে দারিদ্র্যের মধ্যে। চব্বিশ বছর বয়সে মনের ঝোঁকে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেছিলেন শরৎচন্দ্র। সংগীতজ্ঞ হিসেবে খ্যাতির সূত্রে ঘটনাচক্রে এক জমিদারের বন্ধু হয়েছিলেন তিনি ; জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে গিয়েছিলেন বর্মা মুল্লুকে অর্থাৎ বর্তমান মিয়ানমারে। শরৎচন্দ্র তাঁর জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ও বিচিত্র সব মানুষের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে। বিশেষ করে সমাজের নিচু তলার মানুষ তাঁর সৃষ্ট চরিত্রে অপূর্ব মহিমা নিয়ে চিত্রিত হয়েছে। কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের শিল্পীমানসের মৌল বৈশিষ্ট্য মানবতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। শরৎচন্দ্রের প্রথম মুদ্রিত রচনা কুন্তলীন পুরস্কারপ্রাপ্ত 'মন্দির' নামে একটি গল্প ।  তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে:  'দেবদাস', 'পল্লী-সমাজ', 'চরিত্রহীন', 'শ্রীকান্ত', ...

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন

Image
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাংলা অঞ্চলের মুসলমান সমাজে নারী জাগরণের পথিকৃৎ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন অন্তঃপুরবাসিনী জীবন শুরু করলেও সামাজিক সীমাবদ্ধতার বেড়াজাল অতিক্রম করে বিদ্যাচর্চার, শিক্ষা সংগঠনে ও সামাজিক অগ্রগতি সাধনে বরণীয় ও স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি বিরাট ঝুঁকি নিয়ে অবরোধবাসিনীদের উন্মুক্ত বিশ্বে পদার্পণ করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, তা আমাদের সমাজজীবনে আজ সার্থকতা লাভ করেছে। মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা তাঁর অসাধারণ কীর্তি। সমস্ত প্রতিকূলতার ভিতরেও আপন উদ্যম ও প্রচেষ্টায় রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় যে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তা বিস্ময়কর। রোকেয়া সাখাওয়াত হেসেন বাংলা সাহিত্যে বেগম রোকেয়া নামে বিশেষ পরিচিত । সমাজসেবা ব্রত হলেও রোকেয়া কলম ধরেছিলেন সমাজকে জাগানোর লক্ষ্যে এবং এভাবেই তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তীক্ষ্ণ, ঋজু, যুক্তিনিষ্ঠ গদ্যলেখক এবং সমাজসচেতন সাহসী সাহিত্যিক হিসেবে। ঠিক বেগম রোকেয়ার তুল্য লেখক তৎকালীন হিন্দু বা মুসলমান, নারী বা পুরুষ আর কেউ ছিলেন না – বেগম রোকেয়া এমনই এক অদ্বিতীয় রচনারীতির অধিকারী ছিলেন।  তাঁর উল্লেখযোগ্য...